ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি খুলেছে, প্রাণে প্রাণ মিলেছে। করোনার কারণে দীর্ঘ আঠারো মাস বন্ধ থাকার পর ১ নভেম্বর সোমবার সাভারের আশুলিয়ায় সবুজে ঘেরা ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে যেন আনন্দের বান ডেকেছিল। করোনা-সতর্কতা মেনে সকাল নয়টা বাজার আগেই শত শত শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে মায়াবী ক্যাম্পাস। বহুদিন পর প্রিয় বন্ধুকে কাছে পেয়ে সত্যিই যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেল প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাসে সবার আগে চলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন। ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীবোঝাই বাসগুলো একে একে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে প্রবেশ করলে তিনি এগিয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাসিমুখে বরণ করে নেন। উপাচার্য স্যারের অভ্যর্থনা পেয়ে শিক্ষার্থীদের আনন্দ যেন বহুগুণ বেড়ে যায়।
প্রাথমিক কুশল বিনিময়ের পর শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্লাসে উপস্থিত হন। এ সময় উপাচার্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ও রেজিস্ট্রারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তকর্তারা বিভিন্ন ক্লাস পরিদর্শন করেন। ক্লাসে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেন উপাচার্য।
বেলা তিনটার দিকে ক্লাস শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে এক অভূতপূর্ব পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও উপাচার্যের নেতৃত্বে সব বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা একঝাঁক বেলুন আকাশে উড়িয়ে দেন। তখন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গোটা আকাশজুড়ে এক আনন্দময় মুহুর্ত তৈরি হয়। সবাই গাইতে থাকেন – ‘আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে’।
উপাচার্য ড. সহিদ আকতার হুসাইন বলেন, ‘ইউজিসি ও শিক্ষামন্ত্রণালয়ের যাবতীয় নির্দেশনা মেনেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিলাম। আমাদের শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই করোনার টিকা নিয়েছে’। এখনো যারা টিকা নেয়নি তাদের অতি দ্রুত টিকা নেয়ার পরামর্শ দিয়ে উপাচার্য বলেন, করোনাকালের যাবতীয় দুঃখ-বেদনাগুলো বেলুনের সাথে উড়ে যাক দূর দেশে। আর যেন কখনোই ফিরে না আসে। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য একটি নিরাপদ পৃথিবী চাই’।